নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশ উন্নয়নে এবং মানুষের কল্যাণে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে অসামান্য অবদান রাখায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দেশবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বরূপ “বাংলাদেশের সৌহার্দ ও সম্মান” সম্মাননা স্মারক প্রদর্শনীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশকে কলহ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সন্ত্রাসমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টির সহযোগিতায় সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ এর আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সম্মাননা স্মারকটি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেয়ার ঘোষনা দেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব।
দেশ ও মানব কল্যাণে কাজ করার জন্য দেশবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে এমন মন্তব্য করে এফ. আহমেদ খান রাজীব বলেছেন, “দেশ ও মানব কল্যানে কাজ করার জন্য মানুষজাতির পক্ষে একযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে পৃথিবীতে একটা বিশেষ দিবস থাকা অত্যাবশ্যকীয়। সেই বিশেষ দিবসটি হওয়া উচিৎ ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’। যার জন্য বছরের শেষ দিনটিই যথাযথ। সেই লক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকে মহান আল্লাহর আদেশ পালনে পৃথিবীর সূচনায় বাংলাদেশ হতে ৩১ ডিসেম্বর দিনটি ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাস্তবায়নে পালন করে আসছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ। পাশাপাশি দেশবাসীকেও ৩১ ডিসেম্বর দিনটি ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ হিসেবে পালন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশ ও মানব কল্যানে অসামান্য অবদান রাখার জন্য এই ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ দেশ বরেণ্য ১০০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেয়ার ঘোষনাও দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ মে দেশ উন্নয়নে এবং মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণে অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বরূপ “বাংলাদেশের গৌরব ও সম্মান” সম্মাননা স্মারক দেয়ার ঘোষনা দিয়ে সম্মাননা স্মারকটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। আজ আমরা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দেশের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ স্থাপনে অসাধারণ অবদান রাখায় দেশবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বরূপ “বাংলাদেশের সৌহার্দ ও সম্মান” সম্মাননা স্মারক দেয়ার ঘোষনা দিলাম। বিশ্বাস করি খুব শীঘ্রই সম্মাননা স্মারকটি যথাযথভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছিয়ে দিব।”
এফ. আহমেদ খান রাজীব আরো বলেন, “মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য। হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য বিভিন্ন দিবসের ন্যায় প্রতি বছর ২৩ নভেম্বর দিনটি ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছি এবং ৩১ ডিসেম্বর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস পালন করছি। বাংলাদেশসহ পৃথিবীবাসীকে পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় তিনি বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণকে অনুরোধ জানান।”
অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- এস. এম আমান উল্লাহ্ মো. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. শহীদ মঞ্জু, ড. শরীফ সাকি, মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।