মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী :
বিএম কনটেইনার ডিপোর ঘটনায় সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনারা সঠিক সংবাদটি প্রকাশ করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনারা যদি সঠিক সংবাদ প্রকাশ না করতেন তাহলে কুচক্রীমহল এ ঘটনার গুজব রটানোর সুযোগ পেতো। তাছাড়া ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হতাহতের পাশে দাঁড়াতে চট্টগ্রামবাসী যেভাবে ছুটে এসেছেন সেটি সারাদেশে নজির স্থাপন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চট্টগ্রামবাসীর এ আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অনাকাঙ্খিত অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত দশটার দিকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন। খবর পেয়েই তিনি চট্টগ্রামের সকল কর্মকর্তাকে হতাহতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনও ঘাটতি না হয় সেজন্য নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পেয়ে রাতেই সবাই ছুটে এসেছেন। হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যখন যা প্রয়োজন হয়েছে তার ব্যবস্থা করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে যদি কেউ কর্মক্ষম থাকে তাহলে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যাদের পরিবারে কর্মক্ষম কেউ নেই তাদের জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তারা চলতে পারেন। বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত যে কথাগুলো বলেছেন, সব কথা তারা রক্ষা করেছেন। বাকি কথাগুলোও আশা করি রক্ষা করবেন।
এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএম ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সসহ সেবা সংশ্লিষ্ট সবাই যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন সেটি অতুলনীয়। যতদিন আপনারা ব্যবসা করবেন ততদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মরণ রাখবেন।
এ সময় বক্তব্য দেন বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক আজিজুর রহমান ও শফিকুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কবির।