নাজিম উর রহমান
গত ৩০ মার্চ ৪০ তম বিসিএসের ফল প্রকাশিত হয়। ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে পিএসসি। যারা ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন বিভাগের ক্যাডার হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তা নিয়ে একটি সিরিজ প্রতিবেদন তৈরি করছে দৈনিক বাংলাদেশ কণ্ঠ। আজ হচ্ছে তার ষষ্ঠ পর্ব ।
আজকে আমাদের সাথে আছেন ডা. সামসুল আলম যিনি ৪০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত। এই প্রতিনিধির সাথে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কথা হয়েছিল তখন নিজের অতীত কর্মজীবন আর অধ্যবসায়ের গল্প তারপর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যে জার্নি আর তার আগামীর কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বলছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ সাবেক শিক্ষার্থী সামসুল আলম। সম্প্রতি ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগের ক্যাডার হয়েছেন তিনি।
সামসুল আলমের জন্মস্থান ও বেড়ে উঠা নওগাঁ সদরে ইকরকুঁড়ি গ্রামে। তার পরিবারে আছেন মা বাবা ও পাঁচ ভাই ও এক বোন। তিনি মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন নওগাঁ জিলা স্কুল থেকে থেকে আর উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন নওগাঁ সরকারী কলেজ থেকে। তারপর ২০০৯-১০ সেশনে ভর্তি হন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। তার একাডেমিক ফলাফলে তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
সামসুল আলমের জীবনের মূলমন্ত্রের কথা যখন জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি বলেন,“আমার বেড়ে উঠা কৃষক পরিবারে কিন্তু আমার জীবনে একটা তীব্র আকাঙ্খা কাজ করত মানুষকে সেবা করার। মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। পুলিশ ক্যাডার হওয়ার পর আমার মানুষকে সেবা করার জায়গাটা আরও বড় হয়ে গেল। আল্লাহ আমার মনের বাসনা পূরণ করেছেন।”
সামসুল আলমের বাবা ছিলেন একজন সফল কৃষক চাষী আর মা ছিলেন গৃহিণী। কিন্তু তারা আমাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। এত বড় পরিবার হওয়া সত্বেও বাবা তাদের পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে বলতেন না । তার বড় ভাইরা তাকে সবসময় সাহায্য করত আর অনুপ্রেরণা দিত । মায়ের প্রভাব ছিল তার জীবনে অনেক, কারন তার বাবা দিনের বেশির ভাগ সময় মাঠে থাকত আর মা তাদের সব খেয়াল রাখত নাহলে আজ হয়তবা তারা এ পর্যন্ত আসতে পারত না।
মায়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,“আমার মা স্ট্রোক করে চার বছর ধরে বিছানায় শোয়া। তারপর থেকে তার একটাই কথা বিসিএস কবে হবে ? কিন্তু আমি কোন উত্তর দিতে পারতাম না। তার স্বপ্ন পূরনের জন্য আজ আমার বিসিএস ক্যাডার হওয়া।”
সামসুল আলম বেশির ভাগ পড়াশোনা করেছেন নিজের হলের বিসিএসের সময় গ্রুপ স্টাডি করে পড়তেন যাতে বুঝতে পারতেন তার পড়াশোনায় তিনি যাতে পিছিয়ে না পরেন।
তিনি যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন তার বর্ণনায় তিনি বলেন,“মূলত তিনি ইন্টার্ন করার সময় থেকে বিসিএস এর জন্য পড়া শুরু করেন। প্রিলিমিনারির প্রস্ততি যার যত ভাল হবে সে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকবে। পরীক্ষায় সিলেবাসটা ভাল করে ফলো করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ভাল করার জন্য গুছিয়ে পড়তে হবে। বিজ্ঞান ও গনিতে ভাল গুরত্ব দিতে হবে প্রচুর ডাটা, উক্তি মনে রাখতে হবে কোন বিষয়ে দুর্বলতা থাকলে সে বিষয়টাতে দুর্বলটা কাটিয়ে ভাল প্রস্ততি নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজীতে ভাল করার জন্য প্রচুর ভোকাবেলারি পড়তে হবে। ভাইভা বোর্ড ভাল করা শুধু বেশি জানার উপর নির্ভর করে না। আপনার আচরণের উপর ও অনেকটা নির্ভর করে । সমসাময়িক বিষয় ও শুদ্ধ ভাবে ইংরেজি বলাটাও ভাইভা বোর্ডে একটা ফ্যাক্ট”।
বিসিএস যাদের একমাত্র গোল তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মানুষকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে আর নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে, কারন এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া।”
কর্মক্ষেত্রে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে নিজের সবটুকু দিয়ে দেশ ও দশের সেবা করা এবং একটা সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়া।
জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে, পুলিশের নবীন সদস্যদের আইজিপি
বশ কন্ঠ প্রতিবেদক: নবীন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে 'রূপকল্প...