গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে কিরণ নামের এক কৃষকের ও কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়া মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সোবাহান নামের আরেক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও শ্রীপুরে কারখানার দেয়াল ধসে ফরিদ মিয়া নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
বজ্রপাতে নিহত কিরণ মিয়া (৫০) কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের মৃত আব্দুল কাদেরের সন্তান এবং আব্দুস সোবাহান (৫৫) কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদচালা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের সন্তান।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম নাসিম জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে কাইজলি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে কিরণ মিয়া নামের একজন বজ্রপাতের শিকার হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিরণ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই সোহেল মোল্লা বলেন, শুক্রবার বিকেলে ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদচালা এলাকায় কৃষক আব্দুস সোবাহান গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে কারখানার দেয়াল ধসে নিহত হওয়া ফরিদ মিয়া ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার কুড়িপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর সন্তান। তিনি শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা জানান, জুলফার বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের নামক কারখানার পেছনের সীমানা প্রাচীরের দেওয়ালটি এতোটাই জীর্ণ ছিল যে সেটিকে বাঁশ দিয়ে আড় বেধে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই দেওয়ালটি ভেঙে চার পথচারীদের উপরে পরে। আহত চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর থানার এসআই মো. নাজমুর রহমান বলেন, একজন নিহতের ঘটনা শুনলেও তার মরদেহ আমরা পাইনি। শুনেছি মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।