তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
রহস্যজন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পারাবত আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কারের স্বাভাবিক চলাচলের মেয়াদ ছিল না। লোকোশেডে থাকার কথা থাকলেও সেটি চালানো হচ্ছিল মেরামত করে। ফলে টানা সার্ভিস দিতে গিয়ে পাওয়ার কারটিতে আগুন লাগে। এছাড়া পাওয়ার কারে ছিল না অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাও। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এবং রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অজয় কুমার পোদ্দার বলেন, ‘আমদানি করার পর যে কোনো পাওয়ার কার রেলওয়েতে যুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ ২০ হাজার ঘন্টা পর্যন্ত স্বভাবিক সার্ভিস দিতে পারে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পারাবত ট্রেনে যুক্ত পাওয়ার কারটি ২০১৬-১৭ সালের দিকে আমদানি করা। সেদিক থেকে ২০২১ সালেই এটি লোকোশেডে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল।’
রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন আপ অ্যান্ডডাউনে চলাচল করে। সেই হিসেবে প্রতিটি পাওয়ার কার সপ্তাহে ৬ দিন ১৪ ঘন্টা করে সার্ভিস দেয়। আর বর্তমানে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। ফলে একটি পাওয়ার কার ২০ হাজার ঘন্টাও চলার কথা নয়।
রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. খায়রুল কবির বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। একটু সময় লাগবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রধান মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হক বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করি ২/১ দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো। তখন বলতে পারব কি কারণে আগুন লেগেছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পাওয়ার সার্ভিস বগি থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং সব থেকে বড় বিষয় মানবজীবনের কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।