সালাহ উদ্দীন খান রুবেল, নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের মৃত শেখ লেবুর ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি একটি প্রভাবশালী চক্র বেদখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সহজ সরল শান্তিপ্রিয় আব্দুল মজিদ ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে প্রকাশ, হামিদপুর গ্রামের মৃত শেখ লেবুর ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ ১৯৭৩ সালে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে তা অদ্যাবদি ভোগ দখল করে আসছিল। তিনি নিয়মিত জমির খাজনাও দিয়ে আসছেন। জায়গাটি দূর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় এর দাম হু-হু কওে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই জায়গার উপর লুলোপ দৃষ্টি পড়ে বিক্রেতার আত্মীয় স্বজন শালদীঘা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন ও শামছুল হকের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিনের। তারা ওয়ারিশানের অজুহাতে আমার ক্রয়কৃত জমি বেদলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সম্প্রতি তারা বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলার জন্য বাঁশ, কাঠ, টিন ও সিমেন্টের পিলার এনে সেখানে জড়ো করে। খবর পেয়ে হামিদ ঘর তুলতে বাঁধা দিলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি থানা পুলিশ কে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘর তুলতে নিষেধ করে। পরে দুপক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে দু পক্ষের মাঝে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে।
এ ব্যাপারে সহজ সরল শান্তিপ্রিয় আব্দুল মজিদ ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ফৌজিয়া খান বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নেত্রকোণা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিরুদ্ধপূর্ণ জমিতে যাতে কোনো পক্ষই যেন না যায় তার জন্য দুপক্ষকে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, আদালতই জমির মালিকানা নির্ধারন করে দিবে। আইনশৃংখলার যাতে কেনো অবনতি না হয় পুলিশ তা কঠোর নজরদারিতে রেখেছে।