বাংলাদেশ কন্ঠ প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান পার্টি এবং ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেফতার কৃতরা হলো আব্দুর রহমান শুভ, মোঃ ইয়াছিন আরাফাত জয়, মোঃ বাবু মিয়া, মোঃ ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, মোঃ জনি খাঁন, মোঃ রোকন, মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ জুয়েল, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, মোঃ আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, মোঃ শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, মোঃ রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মোঃ মাসুদ, মোঃ তাজুল ইসলাম মামুন, মোঃ সবুজ, মোঃ জীবন, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, মোঃ মুন্না হাওলাদার, মোঃ শাকিল হাওলাদার, মোঃ ফেরদৌস ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
এসময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়। বুধবার ৬ এপ্রিল ও শুক্রবার ৮ এপ্রিল রাজধানীর লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ৯ এপ্রিল সকাল ১০:৪৫ মিনিটে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম।উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বলেন, সাধারণত রমজানের সময় ও যেকোন উৎসব তথা ঈদের আগে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদেরকে প্রতিরোধে ডিএমপি কমিশনার স্যারের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনানুযায়ী তাদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে নামে গোয়েন্দা বিভাগ।
তিনি বলেন, ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগ বুধবার ও শুক্রবার লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রের ২৭ জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্ট্যান্ড, অন্ধকার গলিতে অবস্থান করে যেকোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। কখনো কখনো যাত্রীবেশে বাসে উঠে পড়ে। সুবিধামতো সময়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনা নাশক প্রয়োগ করে। যাত্রি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ এ ধরণের কয়েকটি ঘটনার তদন্তে নেমে এ চক্রগুলির সন্ধান পায়। এধরনের অপরাধের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ডিবির এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মোবাইল চোরের পাশাপাশি চোরাই মোবাইল বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করবে পুলিশ
বাংলাদেশ কন্ঠ প্রতিবেদক: শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয় কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ...