অনলাইন ডেস্ক।।
সুন্দরবন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের দুই চুলার গ্রাহকের গ্যাসের দাম ১০৫ টাকা এবং এক চুলার গ্রাহকের গ্যাসের দাম ৬৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি করে বিইআরসি। সকালে শুনানি হয় সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর। সংস্থাটি খুলনা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে। বিকালের শুনানিতে অংশ নেয় পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। সংস্থাটি বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গে গ্যাস সরবরাহ করে।
শুনানিতে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষ এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্যপণ্যের এ ঊর্ধ্বগতির বাজারে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। তারা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির গণশুনানিকে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা দাবি করে এটি বাতিলের দাবি জানান।
গতকাল শুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও মোহাম্মদ আবু ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আজ বৃহত্তর গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শুনানির শুরুতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, সবার আগে জনগণ, তাদের ছাড়া আমারও অস্তিত্ব থাকে না। দাম ববৃদ্ধির পর সামাজিক কী প্রভাব পড়বে সেটি দাম বৃদ্ধির আবেদনের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কোম্পানিগুলো সে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। কোম্পানিগুলোর শুধু নিজেদের লাভ বা মুনাফার কথা চিন্তা না করে দাম বাড়ালে মানুষের জীবনে কি প্রভাব পড়বে সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।