বিনোদন প্রতিবেদক: চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য। দেশের ৩০০ নির্বাচনী আসনে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের দাবী প্রতিষ্ঠায় প্রায় তিন বছর ধরে তিনি সোচ্চার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত তার চাওয়া তুলে ধরছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যুক্তিসহকারে ব্যাখ্যা করছেন। হাবিব বলেন, দেশের চলচ্চিত্র আজ সঙ্কটে। পুরনো প্রেক্ষা গৃহগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকবছর ধরে। মানুষ সিনেমাহল বিমুখ দীর্ঘদিন। মফস্বলে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে একসময় একাধিক সিনেমাহল ছিলো। এখন একটিও নেই। সিনেমা চলে এসেছে মোবাইল ফোনের পর্দায়। কিন্তু সিনেপ্লেক্সগুলোয় দর্শক ঠিকই যাচ্ছে। তাই আমি চাই দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলোয় নিদেনপক্ষে একটি করে সিনেপ্লেক্স হোক। দর্শক সিনেমামুখী হোক।
নিজের এ দাবী লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পেশ করেছেন এ নির্মাতা। তার এ দাবীর পক্ষে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের প্রায় সবাই একমত প্রকাশ করেছে। নিজের দাবীর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে হাবিব বলেন, মফস্বল শহরে সিনেপ্লেক্স হলে মানুষ সিনেমায় লগ্নি করার সাহস পাবে। তরুণদের অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। নতুন পরিচালক পাওয়া যাবে। সিনেপ্লেক্স ঘিরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এতে করে কর্মসংস্থান বাড়বে। যুবসমাজ নেশার পরিবর্তে সুস্থ বিনোদনমুখী হবে। হাবিব সরকারের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই শিল্পকে প্রকৃত শিল্পের রূপ দিতে নির্বাচনী আসনে সিনেপ্লেক্সের প্রয়োজন অপরিসীম। স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতা নিয়ে একজন লগ্নিকারী যদি সহজ শর্তে ঋণ পায় তাহলে বেসরকারী উদ্যোগে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ বাড়বে। জীবনযাত্রার ব্যয় কম হওয়ায় ঢাকার চেয়ে মফস্বলে টিকিটের মূল্য কম হবে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ কঠিন। তিনি আরও বলেন, বিএফডিসি (বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেল পমেন্ট কর্পোরেশন) নির্মাণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার বিশ্বাস জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এ দাবী বিবেচনায় নিবেন। চলচ্চিত্রের সঙ্কট কাটাতে ভূমিকা রাখবেন।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব মনে করেন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারলে সিনেমায় সুদিন ফিরতে দেরী নেই। দেশজুড়ে তার এ দাবী ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞ এ নির্মাতা। প্রসঙ্গত, হাবিবুল ইসলাম হাবিব নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছবি ‘রাত্রির যাত্রী’। আশির দশকের শেষে নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বখাটে’ ও ‘বিজয় নব্বই’। ‘প্রেক্ষাপট’ নাট্যদলের হয়ে পরিচালনা করেন ‘ইদানিং তিনি ভদ্রলোক’, ‘খাঁটি মীর জাফরের বাচ্চা’, ‘উল্টারাত পাল্টাদিন’ ইত্যাদি। তিনি গ্রুপ থিয়েটার, প্যাকেজ নাটক, সম্মিলিত জোট গঠন, শর্ট ফিল্ম মুভমেন্ট ইত্যাদি সাংস্কৃতিক আন্দো লনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নাটক, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে নিয়ে থিম সং ও ফিলার নির্মাণ করেন।
মুক্তি পেল জামশেদ ও কেয়ার জুটির প্রথম গান
বিনোদন প্রতিবেদক: জামশেদ ও কেয়ার নতুন ছবি ‘কথা দিলাম’-এর প্রথম গান মুক্তি পেয়েছে। ‘মনের দামে মন’ শিরোনামের এই তারকাবহুল গানটিতে...