অনলাইন ডেস্ক :
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এক সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী হয়ে! তবে আজীবন কুমারী থেকেছেন লতা। বিয়ে করেননি। প্রেমকে নিজের জীবন থেকে দূরেই রেখেছিলেন তিনি। যদিও পৃথিবী জুড়ে তার ভালোবাসার মানুষের অভাব ছিল না।
আজীবন কুমারী থাকলেন, একাকীত্ব ঘিরে ধরেনি? তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘একমাত্র আমার মা আমার বিয়ে নিয়ে জোরাজুরি করতেন, একসময় তিনিও হাল ছেড়ে দেন। আমার কাছে আমার পরিবার বিয়ের চেয়ে বেশি জরুরি ছিল। কিন্তু এমনটা অস্বীকার করব না যে আমাকে কোনওদিন একাকীত্ব ঘিরে ধরেনি, তাহলে তো আমি মানুষই হতাম না। বিবাহিত হোন কিংবা সিঙ্গেল, একাকীত্ব সবার জীবনে আছে। কখনও কখনও এই একাকীত্ব ক্ষতিকারক হয়, তবে আমি বলব আমি খুব সৌভাগ্যবান যে ভালোবাসার মানুষরা আমার আশেপাশে সবসময় থেকেছে’।
সব একাকীকত্তকে ছাড়িয়ে কিংবদন্তির মহাপ্রয়াণ; গোটা ভারতবর্ষ শোকে মুহ্যমান। সঙ্গীতপ্রিয়দের চোখে জল, যেন রাজ্যের সব আঁধার নেমে এসেছে সবার চোখে। ‘নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া’ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোক ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে ছুঁয়ে গেছে দুনিয়ার তাবৎ সঙ্গীতপ্রেমীদের। শীতের ভোর এমন দুঃসংবাদ বয়ে আনবে কে জানত!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। গত ২৮ জানুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসও নিতে পারছিলেন। ডাক্তাররা বলছিলেন, তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই ভালোর দিকে। কিন্তু ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে আবার জটিলতা শুরু। এবার কাউকে আর কিছুটি করার সুযোগ না দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।