অনলাইন ডেস্ক :
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে টেকনাফের বাহারছড়া টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮) ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর (৩১) মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন। হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন ও ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন।
দুপুর আড়াইটার সময় সিনহা হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এছাড়া লিয়াকত ও নন্দদুলালের সক্রিয় ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে।
আলোচিত এ মামলায় এখন কারাগারে আছেন ১৫ আসামি। তারা হলেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী; টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার দেহরক্ষী রুবেল শর্মা; বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত; বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাগর দেব; বরখাস্ত এএসআই লিটন মিয়া; বরখাস্ত এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান; বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ; টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।