অনলাইন ডেস্ক :
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক সোহেল সানি বলেন, হাবীবুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করি তার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এটি হয়তো সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর যদি এমনটি হয় তাহলে বিষয়টি উদ্বেগজনক।
হাবীবের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ডিআরইউর সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কমিটি করার দাবি জানিয়ে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সাবেক সভাপতি মিজান মালিক বলেন, হাবীবের মৃত্যুর রহস্য জানার জন্য সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কমিটি করা উচিত। তার মৃত্যুর রহস্য বের করতে সাংবাদিকরা সমন্বয় করবেন। তারা সরকারের বিভিন্ন দফতরে বিষয়গুলো অবহিত করবেন। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় এধরনের আরো অনেক রহস্য উদঘাটিত হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, হাবীবের মৃত্যু আমরা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু তার মৃত্যু কীভাবে হলো সেই তথ্যও আমাদের জানার অধিকার আছে। আমরা কোনো তৎপরতা দেখতে পাইনি সরকারের কোনো মহল থেকে। যদি সড়কের ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে সেটি প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব বলেন, হাবীবের মৃত্যু রহস্যজনক। আমরা এরই মধ্যে ডিআরইউর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছি। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরব থাকবে আশা করি। আর হাবীবের পরিবারের পাশে থাকবে ডিআরইউ।
ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মোরসালীন নোমানী বলেন, হাবীবের মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছে। এভাবে তার অকালে চলে যাওয়া মেনে নেয়া কষ্টকর। তার মৃত্যুর রহস্য রয়েছে। তাই আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দাবি জানাই, সে কীভাবে মারা গেলো তা যেনো প্রকাশ করা হয়। সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে তা জানা দরকার। এক সপ্তাহ হয়ে গেছে তার মৃত্যুর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এটি হতাশাজনক। তাই সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই এই ঘটনা নিয়ে যেন প্রতিবেদন করা হয়।
কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সহ-সভাপতি ফারুক খান বলেন, মানুষ মরণশীল। কোন না কোন সময় আমাদেরকে মৃত্যুর স্বাধ নিতে হবে। কিন্তু আমরা সবাই চাই স্বাভাবিক মুত্যু। আমাদের সহকর্মী হাবিবের মৃত্যু স্বাভাবিক দূর্ঘটনায় হয়েছে কিনা তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারন এ মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
আওয়ামী লীগ বিটে কাজ করা সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার অমরেশ রায় বলেন, বলা হচ্ছে হাবীব সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। কিন্তু যে আলামত আমরা দেখছি তা সন্দেহ তৈরি করেছে। তাই তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন হওয়া উচিত। সাগর-রুনির হত্যা আমরা দেখেছি যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। তাই হাবীবের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হওয়া দরকার।
কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জসিম বলেন, হাবীবের স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যাকাণ্ড এটি আমাদের জানা দরকার। একজন নাগরিক হিসেবে তার মৃত্যুর রহস্য জানতে চাই। যদি সঠিক তদন্ত করে তা জানানো না হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবো।
কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো তার মৃত্যু রহস্যজনক। আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি হাবীবের মৃত্যুর রহস্য জানতে। তার এই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাই তিনি যেন এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।
কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার আয়োজিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক এস এম কালাম, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল হাসান, সোলাইমান সালমান, এসকে রেজা পারভেজ, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, ডিআরইউর সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম জসিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী মিল্টন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর, লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাকির হোসেন লিটন, ঝালকাঠি জেলা সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক লাল ঘোষ, দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার পাভেল হায়দার চৌধুরী, এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম’ ঢাকার প্রচার সম্পাদক মো: শরীফুল ইসলাম, ইভেন্ট ও আপ্পায়ন সম্পাদক মো: জহির আলম শিকদার, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইদ আব্দুল মালিক, কামরুজ্জামান বাবলু, এফ এম মুশফিকুর রহামান, সাইফুল ইসলাম, এবং কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম’ ঢাকার সিনিয়র সদস্য আলি আশরাফ আখন্দ প্রমুখ।