অনলাইন ডেস্কঃ
আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভোররাতের দিকে শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক প্রেস ব্রিফিংইয়ের মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়ছে । গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই এসব একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানান তারা ।
শুধু তাই নয় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বলা হয়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল থেকে অনশনরত যেসব শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছিল তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । সে সময় তারা আন্দোলনের বিষয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেন এবং অনশনরত শিক্ষার্থীদের জীবনঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যারা অনশনরত আন্দোলনকারী রয়েছে তাদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে । ব্লাড প্রেসার, ব্লাডে অক্সিজেন ও সুগার লেভেল কমে যাওয়া, খিচুনীসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ধীরে ধীরে তারা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন ।
তবে আন্দোলরত এক মুখপাত্র বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক সেচ্ছাসেবক হিসেবে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীদের পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সও আছে ।
এদিকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির যেকোন কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে থাকেন । এ আন্দোলনেও সেভাবেই অর্থ সংগ্রহ চলছিল । তবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সবগুলো মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয় । রকেট, নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টসহ মোট ছয়টি একাউন্ট থেকে কোন লেনদেন করা যাচ্ছে না এমন কি নম্বরগুলোতে সব ধরনের ফোন কলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।
উল্লেখ্য যে, গত ১৩ জানুয়ারি শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের অধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরনের অভিযোগ ও তার পদত্যাগ সহ তিনদফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা । পরর্তীতে তারা সে সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ না দেখায় তিন দফা দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে অবুরুদ্ধ করে রাখেন ।
সে সময় উপাচার্য পুলিশ ডেকে আনেন তাকে উদ্ধার করার জন্য । তখন পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । এতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আহত হবার ঘটনা ঘটে । এরই প্রেক্ষিতে , ১৯ জানুয়ারী ২৩ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাস ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন ।