অনলাইন ডেস্ক :
আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল থেকেই শাবিতে শুরু হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ । উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা । সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও এর আশেপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বয়কট ও পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা । তার আগে গতকাল রবিবার শিক্ষার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান করেছিলেন ।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত ও হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস । তাদের একমাত্র দাবি শুধু মাত্র উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে গনিত বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ রাশেদ তালুকদারকে । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কমিটি রবিবারের ঘটনা তদন্তের জন্য করা হয়েছে । কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে ।
আজ সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল করে তোলেন শিক্ষার্থীরা । শিক্ষার্থীরা স্লোগানে দিয়ে বলতে থাকে ‘যেই ভিসি গ্রেনেড ছোড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘যেই ভিসি ছাত্র মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি গুলি ছোড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও’।
আন্দোলন প্রসঙ্গে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব । আমাদের এক দাবি যে ভিসি আমাদের উপর হামলা চালাতে পারে, সেই ভিসিকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই না । আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল ছেড়ে দেওয়ার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি । আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা হল ত্যাগ করব না ।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য জহির বিন আলম বলেন, রবিবারে ঘটনা কি ভাবে ঘটল, কিভাবে শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত হলো, এতে কারা দোষী তা আমরা অবশ্যই খুঁজে বের করব ।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বিকেলে তিনদফা দাবি মেনে না নেওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা । এই ঘটনায় উপাচার্যকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এতে শিক্ষার্থীদের উপর রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছাত্রভঙ্গ কর দেন। পরে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ । এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয় ।