ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার নামে লাইসেন্স করা একটি রিভলবার ধানমন্ডি থানায় জমা দিয়েছেন। একই সময়ে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের নামে লাইসেন্স করা একটি শটগানও জমা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি তাদের পারিবারিক কলহ থানা পর্যন্ত গাড়ায়। স্ত্রী ডা. জাহানারা স্বামীর নির্যাতনের বিরোদ্ধে পুলিশে খবর দেন। পরে তিনি ডা. মুরাদ হাসানের নামে জিডিও করেন। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়। একপর্যায়ে তাদের দুজনেরই অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের ভাষ্য যেহেতু পরিবারে কলহ চলছে। সেহেতু তাদের কাছে অস্ত্র থাকা নিরাপদ নয়। যে কোন সময় বড় কোন সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। ওই বিতর্কের মধ্যেই মোবাইল ফোনে তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। তাতে তিনি এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেন। এসব ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মুরাদ। পরে আওয়ামী লীগের পদ হারিয়ে ৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। তবে প্রথমে কানাডায়, পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন তিনি।