বিনোদন প্রতিবদক: জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প, বানিজ্য, ত্রাণ ও দূর্যোগ কল্যানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরশেন গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই সূত্রে ২০১২ সাল থেকে এই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)- এর প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এই ইতিহাসকে স্মরণ করে বলছি চলচ্চিত্র হলো কালের সাক্ষী। একটি দেশের সংস্কৃতি, নাগরিকদের আচার, ব্যবহার, পছন্দ, রুচি, অভ্যাস জানা যায় সেই দেশের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক অসঙ্গতি, শোষণ-নিপিড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমালোচনা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে চলচ্চিত্র। বিনোদনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র যে সমাজের দর্পণ স্বরুপ সেই কথা আজ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। চলচ্চিত্রের গল্পে দেশীয় চিন্তা, দেশীয় সংস্কৃতি ও মৌলিকত্ব থাকলে তা বহন করতে পারে জাতীয় পরিচয়, তৈরী করতে পারে মনস্তত্ব।। আলোর মিছিল, হাঙর নদী গ্রেনেড, ওরা ১১ জন, আগুনের পরশমণি, জীবন থেকে নেয়া, মাটির ময়না সিনেমাগুলো বাংলা চলচ্চিত্রের এক গৌরবজ্জ্বল অতীত। বিশ্বের দরবারে বাংলেদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।। বীর বাঙালী জাতীর বাংলা চলচ্চিত্রের এমন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা এদেশীয় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট পুরোধা ব্যক্তিরা আর মেনে নিতে পারছেন না।। তারা ভিনদেশী সংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসাতে নারাজ।।ইতোমধেই জীবনবোধের প্রকৃত চিত্র, নিজস্ব সংস্কৃতি, বাস্তবধর্মী প্রেক্ষাপট নিয়ে নতুন করে সিনেমার গল্প নির্বাচণে উঠে পড়ে লেগেছেন।। আশা করি খুব শীঘ্রই এর সুফল পেতে আরম্ভ করবে এদেশীয় চলচ্চিত্র দর্শকেরা। চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িত সকলেই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে প্রযোজকরা যে পরিমান টাকা বিনিয়োগ করে একটি ভালো মানের সিনেমা নির্মাণ করেন সেই লগ্নিকৃত টাকাই তারা বাজার তুলে আনতে পারেন না, মুনাফা লাভ করা তো দূরাশার শামিল।লাভের মুখ না দেখার অন্যতম কারণগুলোর একটি হলো আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন উন্নত মানের সিনেপ্লেক্সের অপার্যপ্ততা।বরাবরের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শুভ দৃষ্টি পেলে অন্যান্য খাতের মতো বাংলা চলচ্চিত্র খাতও যে একদিন বিপুল পুরমান বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করতে পারবে তা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বোদ্ধারা বিশ্বাস করেন। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক যুগে সর্বাগ্রে ৩০০ সংসদীয় আসনে ৩০০ সিনেপ্লেক্স জরুরী প্রয়োজন।
মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় সংস্কৃতির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদের দাবীর প্রতি আন্তরিক থাকবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
ঈদে শিপন ও তানিনের ‘ভালোবাসার রং তামাশা’
বিনোদন প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদুল আযহার একটি নাটকে একসঙ্গে দেখা যাবে চিত্রনায়ক শিপন মিত্র ও চিত্রনায়িকা তানিন সুবহাকে । নাটকের নাম...