বাংলাদেশ কন্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অ্যাসো সিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর উদ্যোগে সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১। এ উপলক্ষে বুধবার (২৭ অক্টোবর) বেসিস অডিটোরিয়ামে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভা পতিত্বেএক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক রাশাদ কবির বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর আয়োজন ও প্রস্তুতিবিষয়ক নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর কার্যক্রম ২৭ অক্টোবর থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমে শুরু হবে। আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। রাশাদ কবির বলেন, এরপর বিচারকদের মাধ্যমে ধাপে ধাপে যাচাই বাছাই করে দুইটি ভাগে মোট ১০০টি পুরস্কার দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে থাকবে ২০টি পুরস্কার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে থাকবে ৮০টি পুরস্কার। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৫টি, স্টার্টআপ বিভাগে ৫টি এবং এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স বিভাগে ১০টি পুরস্কার থাকবে। আর ব্যক্তি পর্যায়ে ৬৪ জেলায় ৬৪ জনকে, ব্যক্তি নারী বিভাগে ৬ জনকে এবং আউটসোর্সিং প্রফেশনাল বিভাগে সেরা ১০ জনকে পুরস্কার দেয়া হবে। বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর উপদেষ্টা ফারহানা এ রহমান নারীদের ঘরে বসে অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের বিষয়ে উৎসাহ দিয়ে বলেন, যেভাবে প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে আমাদেরও সেভাবে দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যারা কাজ করছেন তাদেরকে দৃশ্যমান করা ও স্বীকৃতি প্রদান, রপ্তানিতে তাদের অবদান তুলে ধরা, ব্যক্তি গতভাবে যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারা যাতে কোম্পানি তৈরির মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে পারেন সেটাই এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন। ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়া আরফিন তার বক্তব্যে প্রতিবছর বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের জন্য বেসিসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ব্যাংক এশিয়া প্রায় শুরু থেকেই এ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি বিশ্বাস করি এ আয়োজনের মাধ্যমে একদিকে যেমন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে তেমনি দেশের প্রায় সকল জেলা ও প্রত্যন্ত এলাকায় অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন,সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্ণিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতিমধ্যে এ খাতে অর্জিত আয়ের উপর ১০% নগদ প্রণোদনা চালু করেছে। তিনি এই নগদ প্রণোদনা ২০%-এ উন্নীত করার অনুরোধ জানান। নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার জন্য সরকারের সাথে বেসিস একাত্ম হয়ে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনের পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করতে হবে বলে মনে করেন। বেসিস সভাপতি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে যেসব বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের দেশীয় সফটওয়্যার ও সফটওয়্যার পরিষেবা সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এ ব্যাপারে বেসিস সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণে বেসিসের পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকছে ব্যাংক এশিয়া এবং সহযোগিতায় আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ। বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও নিবন্ধন করতে যেতে হবে এই লিংকে https :// out sourcing award .basis.org.bd/।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে ভিভো ওয়াই ০১
বাংলাদেশ কন্ঠ প্রতিবেদক : ভিভো নিজেদের ওয়াই সিরিজের সাশ্রয়ী, স্টাইলিশ ও অনবদ্য মানের স্মার্টফোন নিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করে চলেছে।...