নরসিংদী প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মন্ডপ গুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দক্ষ নেতৃত্বে জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য দিনরাত এক করে কাজ করেছে।
কুমিল্লার ঘটনায় যখন চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়,প্রতিবাদ, হামলা, ভাংচুর হয়েছিল তখন জেলা পুলিশের ব্যাপক নজরদারীতে শান্ত ছিল নরসিংদীর পরিবেশ। প্রশাসনিক হিসাব মতে এ বছর জেলার ৬টি উপজেলায় পূজা মন্ডপ হয়েছিল ৩শ ৪৮ টি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব পূজা মন্ডপে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক মনিটরিং ও সর্বোচ্চ নজরদারী । যার ফলে হামলা ভাংচুর তো দূরের কথা জেলার কোথায় কোন বিশৃঙ্খলা পর্যন্ত হয়নি। আর এ সফলতার পেছনে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দক্ষ নেতৃত্ব ও পেশাদারিত্ব পুলিশিং কাজ করেছে। এসব কার্যক্রম কিভাবে সম্ভব হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে আমাদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছেন জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবেদনটি লিখেছেন নরসিংদী থেকে আমাদের প্রতিনিধি তারেক পাঠান।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইনামুল হক সাগর বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম স্যারের দিক নির্দেশনায় আমরা কাজ করেছি। জেলার ৮৭ টি বিট পুলিশিং কে ভাগ করে পূজা মন্ডপগুলোতে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যে পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা কাজ করেছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের মোবাইল টিম ও পেট্রল টিম গুলো সার্বক্ষনিক নজরদারী ছিল। অধিক গুরত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপ ও আশ-পাশের এলাকা গুলো সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের সকল পুলিশ সদস্য এক যোগে কাজ করেছে। যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থায় ছিল নরসিংদী জেলা পুলিশ।
নরসিংদী জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব সুব্রত কুমার দাস বলেন, পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ,জেলা প্রশাসন,সাংবাদিক,সুশীল সমাজসহ আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করেছে। কোথাও কোন সমস্যা আছে কিনা সে বিষয়ে সবসময় যোগাযোগ ও খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ওনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অনিল চন্দ্র ঘোষ বলেন, নরসিংদীর মত এত সুন্দর পরিবেশ কোথায় দেখা যায়নি। পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতা করেছেন। নরসিংদীর মত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি দেশের অন্যআন্য জেলায় দেওয়া যেত তাহলে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত না।