অনলাইন ডেস্কঃ ঘড়িতে রাত তখন সাড়ে ৯ টা। গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বার), খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি ট্রেনটিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে উঠেছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন নামে একজন প্রসূতি।তিনি অবস্থান করছিলেন ট্রেনের ‘ছ’ নং বগিতে। ট্রেনে ওঠার পর তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হতে থাকে এবং প্রসব বেদনা শুরু হয়। ঘটনাটি ট্রেনের কন্ডাক্টিং গার্ড জানতে পেরে তিনি দ্রুত গার্ড ইনচার্জ আজিমুল হোসেনকে জানালে তৎক্ষনাৎ ট্রেনের মাইকে সন্তান প্রসবের ব্যাপারে একজন চিকিৎসকের সহযোগিতা চেয়ে কামনা করার কথা ঘোষনা করা হল।
ঐ ট্রেনের ‘ঙ’ বগিতে ছিলেন ডাঃ ফারজানা তাসনিম। ঘোষনাটি শোনার পর তিনি সাথে সাথে ছুটে যান ‘ছ’ নং বগিতে প্রসূতি সাবিনার কাছে। তিনি যাওয়ার পর দেখেন বাচ্চা ভুমিষ্ট হওয়ার অবস্থায়, এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি সাথে সাথে উপস্থিত রেল কর্মীদের থেকে ফার্স্ট এইড বক্স চেয়ে নিয়ে তা দিয়েই সংক্ষিপ্ত সার্জারির কাজটি সম্পন্ন করে মা সন্তানকে আলাদা করে তাদেরকে রক্ষা করেন।দেবদূতের মত তিনি এসে বাঁচিয়ে দিলেন দুইটি প্রাণ যা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং অসাধারন।এরকম একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি ডাঃ ফারজানা তাসনিম খুব পারদর্শিতার সাথেই সামলেছেন। বর্তমানে মা এবং সন্তান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন। তারা দুজনই সুস্থ এবং নিরাপদে আছেন।