মোঃ হিমেল নোমান, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগ কর্তৃক ১২ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চোরচক্র শনাক্তসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগের “সংঘবদ্ধ অপরাধ গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম” ঢাকা মহানগর এলাকায় ও হবিগঞ্জ জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৪ মে বুধবার তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতের নাম মো: জাকারিয়া হোসেন হৃদয় (২৫)।
উল্লেখ্য, ১০ মে ২০২৩ ডিএমপির ভাটারা থানার ০১ টি চুরি মামলা ছায়া তদন্তকালে উপ-পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা (গুলশান) ডিএমপি জনাব রিফাত রহমান শামীম পিপিএম এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব হাফিজ আল আসাদ এর তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতিমর্য় সাহা এর নেতৃত্বে “সংঘবদ্ধ অপরাধ গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম” সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের সন্ধান পায়।
এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায় চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যরা এবং চোরাই মোটরসাইকেলসমূহ হবিগঞ্জ এলাকায় রয়েছে। উক্ত সংবাদ ভিত্তিতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোরদের গ্রেফতার করার জন্য হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর থানা হতে মোঃ জাকারিয়া হোসেন হৃদয়কে ধৃত করে তার দেখানো মতে তাহাদের গ্যারেজ হতে সর্বমোট ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মোটরসাইকেল চুরি ও চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় কাজে জড়িত। তাদের চুরির কৌশল সম্পর্কে জানা যায়, চক্রের একজন সদস্য প্রথমত মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং তাদের অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তাদের সাথে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলের ঘাড় লক ভেঙ্গে মোটরসাইকেল চালু করে সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সে আরো জানায় যে, তার অন্য সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মোটরসাইকেল চুরি করে হবিগঞ্জের খালেক এবং ইকবালের কাছে বিক্রি করে এবং পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর, জিতু, ইকবাল, খালেক তারা রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ টি করে মোটরসাইকেল চুরি করে এবং হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর থানাধীন লোকরা বাজার, লাখাই রোড “বন্ধু মটরস” গ্যারেজের এর মালিক মোহনের গ্যারেজে বিক্রি করে। উক্ত গ্যারেজের মালিক মোহন (পলাতক) এবং ধৃত আসামী জাকারিয়া তার ঘনিষ্ট সহযোগী। মোহন এবং তার সহযোগী ধৃত আসামী চোরাই মোটর সাইকেল গুলো ২৫,০০০/- থেকে ৩০,০০০/- টাকা দরে ক্রয় করে। তাদের গ্যারেজের যন্ত্রপাতি পরিবর্তন এবং চ্যাসিস নম্বর ও ইঞ্জিন নম্বর পাঞ্চ করে ৪০,০০০/- থেকে ৫০,০০০/- টাকা দামে বিক্রি করে।
চক্রের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মোটরসাইকেল চুরি মামলা রয়েছে। আটককৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।