নিজস্ব প্রতিনিধি:
তরল স্যালাইন ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত চিকিৎসা। অনেক হাসপাতালে স্যালাইনের ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা কী- জবাবে অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, স্যালাইনের বিষয়টি শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওপর নির্ভরশীল নয়। ওষুধ কোম্পানি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থারও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে।
দেশে চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, স্যালাইনের বিষয়টি শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওপর নির্ভর করে না। এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে আমাদের একটি বড় বেসরকারি খাত রয়েছে। সেখানে বড় একটা কো-অর্ডিনেশন প্রয়োজন। আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। সেক্ষেত্রে আমরা সেখান থেকে তথ্য নিয়ে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কেন সংকট হচ্ছে এবং কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, দেখা যায় যে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব এক সময় চরমে পৌঁছায় এবং পরে ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিবছর এক রকম হবে না। গত বছর অক্টোবরে ডেঙ্গু কমতে শুরু করে। তবে এবার সেটা আগস্টেও হতে পারে।আগস্টে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় এ রোগটায় আক্রান্ত কিছুটা কমে আসবে এবং একটা স্বস্তিকর জায়গায় যাওয়া যাবে।