নিজস্ব প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্য খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য দেশগুলোর ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত পাঁচটি প্রস্তাব পেশ করছি।
প্রথমত, ভবিষ্যৎ জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নিরাময়যোগ্য সংক্রামক রোগ নির্মূল করার জন্য উদীয়মান অসংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ করতে বিদ্যমান সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
তৃতীয়ত, মানসিক স্বাস্থ্যকে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মূলধারায় আনতে হবে এবংপানিতে ডুবে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা বা প্রাণঘাতী বিপর্যয় রোধে আরো মনোযোগী হতে হবে।
চতুর্থত, আমাদের নিজ নিজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অবকাঠামোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের প্রকোপ কমাতে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা করা আবশ্যক।
পঞ্চম, মা ও শিশু, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভীষ্ট-৩ অর্জনের মাপকাঠি বিবেচনা করে এই অঞ্চলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৩ ও অভীষ্ট-১৭ এর আলোকে কার্যকর বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার আজ সময় এসেছে। এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হবে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি মোকাবেলায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর কার্যকর অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা।
তিনি উল্লেখ করেন, এই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি লক্ষ্যবস্তু, নিবেদিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।