নিজস্ব প্রতিনিধি:
‘দেজা ভ্যু’ একটি ইংরেজি ও ফরাসি শব্দ। বাংলাতে এটাকে পূর্বদৃষ্টও বলা হয়ে থাকে। দেজা ভ্যু হল একটি নিশ্চিত অনুভবের অভিজ্ঞতা যা একজন ইতঃপূর্বে এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে অথবা স্বচক্ষে দেখেছে অর্থাৎ একজন ব্যক্তি অনুভব করে যে ঘটনাটি ইতিপূর্বে অথবা সাম্প্রতিক ঘটেছে যদিও পূর্ববর্তী পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সঠিক ঘটনাটির সম্পর্কে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। ঠিক এমনই একটি বিষ্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হলেন ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার গল টেস্ট ম্যাচের দর্শক।
গত বছর এই দিনে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছয়টি টেস্ট খেলার পরেও পাকিস্তান কোনো জয় না পেলেও অবশেষে এক বছর পর একই ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল সফরকারী দলটি। জয়ের ব্যবধানও একই, ৪ উইকেটে। শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ম্যাচ জমে উঠেছিলো। পাকিস্তানকে কম রানের টার্গেট দিলেও লঙ্কান বোলাররা দ্রুত তাদের তিনটি উইকেট তুলে নেয়। শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৮৩ রান আর শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট। পাল্লাটা পাকিস্তানের দিকে বেশি ভারি থাকলেও, কিছুটা আশা ছিল লঙ্কানদের নিয়েও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু হতে দেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই ৪ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার ১৩১ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তান ৩ উইকেটে ৪৮ রান করে। গল টেস্টে জয়ের জন্য পঞ্চম ও শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৮৩ রান। শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৭ উইকেট। ওপেনার ইমাম-উল-হক ২৫ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শেষ দিনের ষষ্ঠ ওভারে আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। বাবরকে ২৪ রানে থামান তিনি।
এই নিয়ে গলে তৃতীয় জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। এই ভেন্যুতে সফরকারী দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে পাকিস্তানের ষষ্ঠ জয়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিল পাকিস্তান।