নিজস্ব প্রতিনিধি:
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং প্রমাণ-ভিত্তিক ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করার এক সপ্তাহ পর এক বিবৃতিতে আইএলও এ আহ্বান জানায়।
গত বুধবার জারি করা এক বিবৃতিতে আইএলও বলেছে, পোশাক খাতে মজুরি নিয়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। এজেন্সি আরও প্রাণহানি ও জীবিকার ক্ষতি এড়াতে সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গত এপ্রিলে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। প্রথম ছয় মাসে তিনটি বৈঠক হলেও মালিক-শ্রমিক কেউই মজুরির প্রস্তাব দেয়নি। গত ২২ অক্টোবর বোর্ডের সভায় শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ন্যূনতম ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেন। বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রস্তাব করেন প্রায় অর্ধেক বা ১০ হাজার ৪০০ টাকা। মালিকের এই মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পরের দিন ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে ধর্মঘটে যান পোশাক শ্রমিকরা। আন্দোলন তীব্র হলে মালিকরা ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভায় নতুন মজুরি প্রস্তাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ৭ নভেম্বর মালিকপক্ষ ১২,৫০০ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেন। ন্যূনতম মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি কাঠামো চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তারপরও শ্রমিকরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখলে মালিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করে দেন।
গত রোববার থেকে কারখানাগুলো খুলতে শুরু করেছে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গত ১২ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা কাঠামোর খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।