নিজস্ব প্রতিনিধি:
৫০ ওভারের ম্যাচে মোট ২১.৩ ওভার খেলা শেষ! ঠিক সেই মুহুর্তের সাক্ষী হলো ভারত- শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের ফাইনারল ম্যাচে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা চূড়ান্ত লজ্জাজনক পারফরম্যান্সে হেরেছে। ৫১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬.১ ওভারে ১০ উইকেটে জয়ী ভারত। দুই ওপেনার ইশান কিষাণ ২৩ ও শুভমান গিল ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
২৬৩ বল হাতে রেখে এই জয়ে ভারত অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল।
এর আগে শ্রীলঙ্কাকে শেষ করে দিয়েছিলেন শুধু মোহাম্মদ সিরাজ। একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১৫.২ ওভারে লঙ্কানদের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৫০ রানে।
এটি যেকোনো দলের ওয়ানডে ইতিহাসে নবম সর্বনিম্ন স্কোর, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১২ সালে পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লঙ্কানরা ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কে জানত, প্রথম ব্যাট করতেই এমন হবে!
ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহ প্রথম ওভারেই আঘাত হানে। ইনিংসের তৃতীয় বলে তাকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা (২ বলে ০)।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজ-ঝাড়। নিজের প্রথম ওভার মেডেন দিয়ে শুরু করেন সিরাজ। পরের ওভারে ভয়ঙ্কর ফর্ম দেখান তিনি। একের পর এক লঙ্কান ৪ ব্যাটারকে ফেরান ড্রেসিংরুমে।
ওভারের প্রথম বলে পথুম নিশাঙ্ক (৪ বলে ২) সিরাজের হাতে ক্যাচ দেন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। তৃতীয় বলে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০) এলবিডব্লিউ করেন তিনি। পরের বলে আসালঙ্কাকে (০) কভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন চারিথ।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু পরিস্থিতি না বুঝে বড় ভুল করলেন। পরের বলে শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন ধনঞ্জয়া (২ বলে ৪)। ওই ওভারে সিরাজ নেন ৪ উইকেট।
তার পরের ওভারে (লঙ্কান ইনিংসের ষষ্ঠ) চতুর্থ বলে সিরাজের আরেকটি শিকার। অফস্টাম্প উড়িয়ে দেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ফিফার বলে সিরাজ পূর্ণ করেন ৪০ রান।
বল হাতে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার জন্য এটি চামিন্দা ভাসের সঙ্গে যৌথ রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক এই লঙ্কান পেসার।
শেষ পর্যন্ত ৭ ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ২১ রানে ৬ উইকেট নেন সিরাজ। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ রানে নেন ৩ উইকেট।