ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন এবং সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সফলভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
আগামীকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা স্থিতিশীল অগ্রগতি করছি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগদানের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, বিএসটিডি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, গবেষণা পরিচালনা, সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সাধন এবং উচ্চ শিক্ষার আয়োজন করে রাষ্ট্রের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি বিএসটিডি আগামী দিনে সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং জাতির পিতার দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আমরা প্রশিক্ষণ খাতের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত জনব্যবস্থাপনা নীতিতে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্যাডারদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে একটি আধুনিক, উন্নয়ন-বান্ধব ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের পরিধি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে একজন নির্বাহী ও কর্মীর মনোবল, দক্ষতা এবং সামগ্রিক গুণমান উন্নত করা যেতে পারে, যা মানবসম্পদ উন্নয়নের চাবিকাঠি।