নিজস্ব প্রতিনিধি:
আগামীকাল (বুধবার) থেকে রাজধানীতে চলাচলকারী আরও ১৩টি কোম্পানির বাসে ই-টিকিট চালু করা হবে। এসব কোম্পানির মোট ৯৪৭টি বাসে ই-টিকিট চালু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি গণপরিবহনে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। যেসব নতুন বাস কোম্পানিগুলো ই-টিকিট চালু করছে সেগুলো হলো- আকাশ এন্টারপ্রাইজ, ভিক্টর ক্লাসিক বাস মালিক সমিতি, ৬ নম্বর মতিঝিল-বনানী পরিবহন কোম্পানি, সবুজ অনাবিল পরিবহন, গ্রেট তুরাগ পরিবহন, অনাবিল সুপার, রাইদা এন্টারপ্রাইজ, আসমানী, টাইম, বৈশাখী পরিবহন , রইচ পরিবহন, বিমানবন্দর-বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মিনিবাস মালিক সমিতি ও মঞ্জিল এক্সপ্রেস।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ঢাকা মহানগরী ও শহরতলী রুটে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা অনিয়ম দূর করতে আমরা আরো ১৩টি কোম্পানির বাসে ই-টিকিট চালু করছি। এর আগে প্রথম ধাপে ৩০টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৪৩টি বাসে এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৬টি কোম্পানির ৭১৭টি বাসে ই-টিকিট চালু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬টি কোম্পানির ৭০ থেকে ৭৭ শতাংশ বাসে ই-টিকিট চালু করেছে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৯টি ভিজিল্যান্স টিম বাকি বাসগুলোকেও কার্যকর করার লক্ষ্যে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও সমিতির নিযুক্ত ৯ জন বিশেষ চেকার প্রতিদিন সড়ক মনিটরিং করছেন। যেসব বাস এখনো নিয়মের মধ্যে আসেনি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক যাত্রী অভিযোগ করছেন, ই-টিকিটে দূরত্ব অনুযায়ী কিলোমিটার উল্লেখ নেই। আমরা এরই মধ্যে বিআরটিএকে এ বিষয়ে কিলোমিটার উল্লেখ করে ভাড়া তালিকা তৈরি করার জন্য অনুরোধ করেছি। সে অনুযায়ী বিআরটিএ ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা ৪৬টি পরিবহন স্টপেজের দূরত্ব পরিমাপ সম্পন্ন করেছেন। এখন কিলোমিটারে উল্লেখিত দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভাড়ার তালিকা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। তারপর ডিভাইসে কিলোমিটার উল্লেখ করব। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, তৃতীয় ধাপে আগামীকাল বুধবার থেকে ১৩টি পরিবহন কোম্পানির মোট ৯৪৭টি গাড়িতে ই-টিকিট চালু করা হবে।
