মোংলা প্রতিনিধি :
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পাকিস্তান ও আমেরিকা আমাদের ভুগোল বুঝায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। ভারত আর রাশিয়া পাশে না থাকলে বাংলাদেশকে শেষ করে দিত তারা। একুশে আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্রেনেড হামলা চালায় খালেদা জিয়া। সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে যাওয়ায় আজকে বাংলাদেশ রোল মডেলে উন্নত হয়েছে। শেখ হাসিনাকে আবারও হত্যা করার জন্য বিএনপি জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেলে দিগরাজ বাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দেশে আর কোন তত্বাবধায়ক সরকার হবেনা। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। এ জন্য সবাইকে প্রস্তুতি থাকতে বলেন তিনি।
তারেক জিয়া লন্ডনে বসে জুয়া খেলে তার সংসার চালান, এ কথা আ’লীগের নয় বিএনপির এক নেতার তা উল্লেখ করে তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে আ’ লীগের ২২ হাজার নেতা কর্মিদের হত্যা করেছে। এখন পলাতক থেকে তারেক লন্ডনে বসে দল চালায়। বাংলাদেশে যত জঙ্গি সংগঠন গড়ে উঠেছিল তা জামায়াতের সৃষ্টি। জোট সরকারের সময় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ এই সংগঠন করেছিল বলেও মন্তব্য করেন আব্দুল খালেক।
১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যার মূল হোতা খুনি মোশতাক ও জিয়া। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনি মেজর ডালিমকে দেশ ত্যাগে সহযোগিতা করেন জিয়াউর রহমান। অথচ দুইবার ফাঁসির মঞ্চে গেলেও বঙ্গবন্ধু কুচক্রীদের সাথে আপস করেননি। এজন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্যই এই দেশে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখনও এই দেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের আহবান জানান।
খুলনা সিটি মেয়র আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মোংলা বন্দরে কাশবন আর শিয়ালে ভরা ছিল। আ’লীগ ক্ষমতায় এসে এই বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নতি হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে। একের পর এক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। খুলনা-মোংলা রেললাইন দৃশ্যমান হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এই অঞ্চলের আরও উন্নত হবে বলেও জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, যুবলীগের সভাপতি ইসরাফিল হাওলাদারসহ স্থানীয় আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।