আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলি বাহিনী এটিকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পরেগাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সমস্ত রোগী মারা গেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর মধ্যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবু সালমিয়া জানান, হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসা কর্মী ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ ৭ হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। চিকিৎসকরা এখনো রোগীদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে প্রবেশ বা বের হতে দেয় না বলে হাসপাতালটি একটি বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালটিতে অবরোধ চলছে। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতি মুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালকে তাদের ঘাঁটি বানিয়েছে, পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরেই মরদেহ দাফন করছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা গাজার দক্ষিণে হামলা চালাবে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সম্পসারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হামাস যেখানে আছে সেখানেই আমাদের অভিযান চলবে। এমনকি, গাজার দক্ষিণেও যাবো আমরা। এ অভিযান তখনই শুরু হবে যখন আমাদের সেনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় আসবে।