হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা ডাক্তার নার্স যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৫০ শয্যা হাসপাতালের ডাক্তার থাকার কথা ৩৬ জন, আছেন ১৪ জন। ২২টি ডাক্তার পদ শূন্য রয়েছে। নার্স পদের সংখ্যা ২৯ জন। কর্মরত রয়েছে ২০ জন। এক্সরে, ইসিজি, প্যাথলজিষ্ট বিভাগে জনবল নেই ১২ বছর ধরে। জরুরী বিভাগের ইমাজেন্সী ডাক্তার পদে ৪টি পদই শূন্য রয়েছে। উপজেলার ছাতিয়াইন, জগদীশপুর, নোয়াপাড়া ও শাহজাহানপুরে ৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন জনবল নেই বললেই চলে। ৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কোন এমবিবিএস ডাক্তার নেই। কাগজে কলমে ২টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এমবিবিএস ডাক্তার থাকলেও ১জন চাকরি করেন ঢাকা মেডিকেলে আরেক জন সিলেট কুষ্ঠ হাসপাতালে। পর্যাপ্ত ডাক্তার ও জনবল না থাকায় ৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসার মান বাড়েনি। এছাড়া অর্থোপেডিক, এনেসথেসিয়া, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ডেন্টাল সার্জন এসব পদে কোন চিকিসক নেই। বিশেষ করে এনেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালের ছোট খাটো অপারেশন করাও সম্ভব হয়না। প্রতিদিন মাধবপুর হাসপাতালে শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে ভীড় করলেও শুধু ঔষধের ওপর নির্ভর করতে হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে যে কয়জন ডাক্তার আছে তারা সঠিক সময়ে হাসপাতালে যায়না। যারা হাসপাতালে চিকিৎসা করেন রোগীর মৌখিক বক্তব্য শুনে ছোট এক চিলতে কাগছে কিছু ঔষধ লিখে দায়িত্ব শেষ করেন। হাসপাতালের রোগ নিণর্য়ের জন্য এক্সরে বিভাগ, ইসিজি বিভাগ, নাক কান গলা বিভাগ দন্ত বিভাগ এবং গর্ভবতী ওয়ার্ডে রোগ নির্ণয়ের জন্য যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবলের অজুহাতে রোগীদের রোগ নির্নয় করা হয়না। ডাক্তাররা রোগীর বক্তব্য শুনে অনুমান করে কিছু ঔষধ লিখে দায় সেরে যাচ্ছেন। কোন কোন ডাক্তার নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাধবপুর হাসপাতালে একটি এম্বুলেন্স রয়েছে জরুরী প্রয়োজনে রোগীদের এম্বুলেন্স প্রয়োজন দেখা দিলে চালক খোকন মিয়া এম্বুলেন্স নষ্ট বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যায়।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, মাধবপুর হাসপাতালে যেসব চিকিৎসক ও জনবল রয়েছে তা দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। শূন্য পদ পূরণ করতে স্বাস্থ্য বিভাগে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। শূন্যপদ গুলো পূরন হলে চিকিৎসা সেবার মান আরো বাড়বে।