হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সর্বত্র মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ। বর্ষার শেষে শরতে আগমন ঘটলেও মশার উপদ্রবে বেড়েই চলছে। ফলে ডেঙ্গুসহ ম্যালেরিয়া ও পাইলেরিয়ার মত প্রাণঘাতি রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রকাশ, উপজেলার ধর্মঘর, চৌমূহনী, বহরা, আদাঐর, আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, জগদীশপুর, বুল্লা, ছাতিয়াইন ও বাঘাসুরা, মাধবপুর পৌর এলাকাসহ সর্বত্রই মশার উপদ্রব। সাধারণ কয়েলে মশা এখন আর দমন হয় না। মশা দমনে দামী কয়েল, স্প্রে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিন্তু দরিদ্র সাধারণ মানুষ নির্ঘুমে রাত কাটাতে হচ্ছে। তার উপর চলছে দফায় দফায় লোডশোডিং।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের আবু সালাম নামের একজন দিনমজুর জানান, ইউনিয়ন গুলোতে মশা নিধন কর্মসূচি কই? বর্তমান সময়ে মশার জ্বালায় জনজীবন অতিষ্ঠ। দেখার কি কেউ নাই? মশার জ্বালায় ঘুম আসে না একলা জেগে রই। শহর বন্দরে তো মশা নিধন কর্মসূচি করা হয়। আমাদের ইউনিয়ন ওয়ার্ড ভিত্তিক এমন কর্মসূচি কি অতীব জরুরী নয়? ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকম কোথায়? সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কি সমাজ সেবকদের চোখের পলকে নেই? তারা কি এই উদ্বেগ নিতে প্রস্তুত নন। মশক নিধন কর্মসূচি গ্রহন করে অতিলম্বে ইউনিয়ন ওয়ার্ড ভিত্তিক মশার স্প্রে ঔষধ প্রয়োগ কর্মসূচি গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
অনেকের ধারনা, মাধবপুর উপজেলায় অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, ঘন জনবসতি, খাল-ডোবা ভরাট করে স্থাপনা তৈরী সহ পয়ঃনিস্কাশন প্রনালী যত্রতত্র হওয়ায় মশার বংশ বিস্তার বেশী। যদি সবাই মিলে নালা, খাল-ডোবা পরিস্কার করে এবং সরকারী উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রম গ্রহন করে তবে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রনে আসতে পারে।