মাধবপুর প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভায় বাসাবাড়িতে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লানটি কোনো কাজে আসছে না। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ (ডিপিএইচই) দেশের ৪০ টি পৌরসভায় একসাথে গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (জিডব্লুটিপি) দ্বিতীয় ধাপের (ফেজ-২) আওতায় মাধবপুর পৌরসভায়ও প্লান্ট নির্মাণ কাজে হাত দেয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্লান্ট নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও বিশুদ্ধিকরণের পর ৪৫০ ঘনমিটার ধারণক্ষমতার সুরিসর ওভারহেড ট্যাংকে (রিজারভয়ার) সংরক্ষণ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌরবাসীদের আবাসিক স্থাপনায় আয়রণমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যেই এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হলেও ৮ মাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পৌরসভাকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি বুঝিয়ে দিলেও পৌরসভা এটি ব্যবহারের ন্যুনতম উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৫ হাজার পৌরবাসীর কোনো কাজেই আসছে না এ প্লান্ট। ঘণ্টায় ২ লাখ লিটার পানি পরিশোধন ক্ষমতার এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে পৌরবাসীকে পানি সরবরাহ করার মতো পাইপ লাইন সংযোগ পৌরসভায় নেই। পাইপলাইন স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা ও উদ্যোগও নেই।
ইতোমধ্যে প্লান্টের ৩ টি গভীর নলকূপের মধ্যে ২ টি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল হক জানিয়েছেন। বাকি ১ টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পৌরসভার বাসিন্দাদের সুপেয় পানির সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম পৌরসভায় বসবাসরত মোট লোকসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষকে গভীর নলকূপের পানি সরবরাহের দাবি করলেও তার এ দাবিকে অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্র। সূত্রমতে পৌরসভার পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ মানুষকে পানি সরবরাহের সক্ষমতা মাধবপুর পৌরসভার নেই। পৌরমেয়র হাবিবুর রহমান দাবি করেন পাইপলাইনে লিকেজের কারণে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে চাইলেও পৌরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছেন না। তিনি জানান ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মেইনটেইন্যান্স খরচ বাবদ পৌরসভা প্রতিমাসে ১০/১২ হাজার টাকা গচ্ছা দিচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভিন জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুন ৫ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি মাধবপুর পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।