হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর প্রতিনিধি:
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সমাজের মূল ধারার মানুষের সাথে জলবায়ু উদ্বাস্থ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদে, দলিত, হরিজনসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে তাদেরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাক, প্ল্যাট, বিভিন্ন প্রকার ঘর ও মুজিব বর্ষের একক গৃহে মোট ১৩ লাখ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। একটি গৃহ কিভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণে এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে অন্যান্য দৃষ্টান্ত “আশ্রয়ন প্রকল্প”। এর ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১ম-৪র্থ পর্যায়ে ২৮৯টি ঘর ‘ক’ শ্রেণির পরিবার (সকল ভুমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র) কে ঘর প্রদান করা হয়। খাস জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নে ৫টি, চৌমুহনী ইউনিয়নে ২০টি, আন্দিউড়া ইউনিয়নে ৪৭টি, জগদীশপুর ইউনিয়নে ১৮টি, বুল্লা ইউনিয়নে ৮টি, নোয়াপাড়া ইউনিয়নে ১৩টি, বাঘাসুরা ইউনিয়নে ১৭৭টি, শাহজাহানপুর ইউনিয়নে ১টি ও মাধবপুর পৌরসভায় ১টি।
পরবর্তীতে সময়ে ভুমিহীন ও গৃহহীন খোঁজে পাওয়া গেলে তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহ্সান জানান, এ পর্যায়ে শুধু ‘ক’ তালিকার পূর্বের টার্গেট অনুযায়ী যারা ভুমিহীন আছে তাদেরকে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে ভুমিহীন, গৃহহীন মুক্তজেলা ঘোষণা করা হবে। গতকাল সকালে উপজেলা হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৪র্থ পযার্য়ে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ছাদিকুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঞ্জুর আহ্সান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব, বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুর মামুন প্রমুখ।