ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
আয়োজকদের মতে, মাতৃভাষা পিডিয়া বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার ব্যাকরণ সংরক্ষণ, ডকুমেন্টেশন এবং তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘পেডিয়ার মাতৃভাষা’ প্রকাশনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এই বছর, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মাতৃভাষা বিশ্বকোষটি মূলত দুটি ভাষায় প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছে- বাংলা এবং ইংরেজি। বইটি দুটি ভাষায় প্রকাশের প্রাথমিক পরিকল্পনা হল বাংলা সংস্করণ: ৫টি খণ্ড বাংলায় প্রকাশিত হবে মাতৃভাষা পিডিয়া এবং ইংরেজি সংস্করণ: ৫টি খণ্ড ইংরেজিতে “মাতৃভাষা পিডিয়া” শিরোনামে প্রকাশিত হবে। .
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এদেশে বাংলা ভাষাসহ অন্যান্য জাতিগত ভাষার ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরনো। বাংলা বিশ্বের অন্যতম ধনী ভাষা। মাতৃভাষা পিডিয়া তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশি ভাষাকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে, মাতৃভাষা পিডিয়া বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার গবেষকদের জন্য তথ্যের উৎস হয়ে উঠবে।
ইন্টারনেটের এই যুগে, এক ভাষার সাথে অন্য ভাষার মধ্যে যোগাযোগ একটি ক্ষীণ গতিতে ঘটছে। সেক্ষেত্রে মাতৃভাষা পিডিয়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মাতৃভাষা পিডিয়াতে মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা, বা যে ভাষাই একজন ব্যক্তির বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শৈশবে মানুষ তার পিতামাতা বা অভিভাবকের কাছ থেকে যে ভাষা শেখে, যে ভাষা একটি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে কথিত হয় এবং যে ভাষায় একজন ব্যক্তির মানসিক বিকাশ ঘটে, এটাকে সাধারণত মাতৃভাষা বলা হয়।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতি বাংলা ভাষাকে বিশ্বের সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণের দায়িত্বে পরিণত করেছে। এই দায়িত্ব থেকে সকল মাতৃভাষার একটি বিশ্বকোষ তৈরির প্রত্যাশা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই) মাতৃভাষা পিডিয়া প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।
মাতৃভাষা পিডিয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।