ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৮৩ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। আজ সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ভূমি ও গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
উদ্বোধন চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের ঘরসমূহের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ৫৮টি ও নবীনগর উপজেলার ২৫টি সহ মোট ৮৩ টি ঘর দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার ৫৮ টি ঘরের মধ্যে ক শ্রেণির পরিবারের মধ্যে ২৫ পরিবারকে মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ায় এবং ১২ টি পরিবারকে মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পাশাপাশি চিনাইর গ্রামে ১৯৯৭ সালে নির্মিত লাখুনিয়া দিঘী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ঘরের জমি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেককে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাজের মূলধারার মানুষের সঙ্গে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষসহ তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদেসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি উপজেলায় নির্মিত হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো।