মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে কালিসীমা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, একই ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আরজু মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, মনির হোসেন (৪০), মজিবুর রহমান (৫২), বেদন মিয়া (৪১), মো. কামাল খা মেম্বার (৩৮), সফিকুল ইসলাম (৬০), হোসেন মিয়া (৪৫), নুরুল ইসলাম (৬৭), ইব্রাহীম মিয়া (৪০) বাদল মিয়া (৫১) মহিউদ্দিন মিয়া (৫১), বাছির মিয়া (৫০), মনিরুল ইসলাম (৪৬), তাজু মিয়া (৬০), কুদ্দুছ মেম্বার (৫৮), ইদন মিয়া (৫০), সিরাজ মিয়া (৬৫), হায়ের আলী (৬০), মো. শামীম (৩৮), আম্বিয়া খাতুন (৩৫), আসমা (৩২), ববি বেগম (৩৪), শিক্ষা বেগম (১৯), লাভলী বেগম (৩০), রেখা আক্তার (৩০), রিমা বেগম (২৫), পারুল বেগম (৪৫), পারভীন বেগম (৩৫), নাদিয়া আকার (২৮), সাফিয়া খাতুন (৭০), নাহিয়া ইসলাম অন্তু (১৯), সেলিনা বেগম (৬৩), রেবেদা সুলতানা (৪৩), রিমা বেগম (২৫), আজিম মুনসুর (১৯)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসলাম হোসাইন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন নারী ও ২৩ জন পুরুষসহ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এবং উভয় পক্ষ থেকে মামলা এলে সেগুলো গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বিরোধের জের ধরে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের লোকজন ও আরজু মেম্বারের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় ও সোমবার দুপুরে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০ জন আহতসহ বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুরের শিকার হয়। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।