ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উলচাপাড়া সড়কের নয়নপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে একটি ফার্নিচারের দোকানে হামলা, চাঁদাদাবি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, নয়নপুর গ্রামের আমিন মিয়ার দোকান ভাড়া নিয়ে নিরীহ ইউসুফ মিয়া অত্যন্ত সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ফার্নিচার ব্যবসা করে আসছে। ইউছুফ মিয়া একই ইউনিয়নের বিয়াল্লিশর গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে।
সে তার দোকানের পাশেই একটি বাড়ীতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছে। ইউছুফ মিয়ার দোকানের পূর্ব পাশে এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,দাঙ্গাবাজ ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আক্তার মিয়ার বাড়ি, আক্তার মিয়া নিজেকে স্থানীয় দাবী করে পেষীশক্তি, অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ফার্নিচার ব্যবসায়ী ভাড়াটিয়া ইউসুফ মিয়ার কাছে চাঁদাদাবিসহ বিভিন্ন প্রকার অমানুষিক নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আক্তার মিয়া( ৪০)ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ইউসুফ মিয়ার শিশু সন্তান মোঃ সামাউনকে খেলাধুলার একপর্যায়ে বাড়ীর সামনে থেকে অপহরনের চেষ্টা করলে ইউসুফ মিয়ার বোন সায়েদা বেগম দেখে ফেলে শোর চিৎকার শুরু করলে অপহরণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে, রামদা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ফার্নিচার দোকানে প্রবেশ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ও দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে আরো ৫০০০ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাপারে ইউসুফ মিয়া বাদি হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতে একটি মামলা দায়ের করে নয়নপুর গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আক্তার মিয়া, তার স্ত্রী পারভিন বেগমকে আসামি করে। উল্লেখ্য নির্যাতিত ইউছুফ মিয়ার স্ত্রী গত ৭ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে সন্ত্রাসী আক্তার মিয়া গংদের বিরুদ্ধে ৬ জনকে আসামী করে আদালতে একটি সি আর মামলা ৩২২/ ২০২২ ইং করেছিল যা এলাকাবাসীর মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছিল। সামাউন অপহরনের বিষয়ে ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী সুমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ঘটনার দিন ১৯ ফেব্রুয়ারী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে, এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও সদর মডেল থানার পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানা যায়। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, ওই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই সুমন জানায় আমি গোপালগঞ্জে আছি, আমি কিছু বলতে পারছিনা এ বিষয়ে।