নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিকালের নাস্তায় মচমচে ভাজা খাবার ছাড়া কী চলে ? আপনি চাইলে এই মেঘলা বিকেলের নাস্তার জন্য ঝাল কদম তৈরি করতে পারেন। এটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় খেতে তেমনই সুস্বাদু। চায়ের সাথে এই স্ন্যাক ভালো যাবে। আবার তৈরি করা সহজ, রেসিপি নিম্মরূপ-
উপকরণ-
১. ২ কাপ মুরগির বুকের মাংস (ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে হবে/পাটায় পিষে নিতে হবে)
২. গাজর সূক্ষ্মভাবে কাটা ২ টেবিল চামচ
৩. সূক্ষ্মভাবে কাটা বাঁধাকপি ২ টেবিল চামচ
৪.বরবটি মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ
৫. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
৬. গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ
৭. ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ
৮. আধা চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়ো
৯. আধা চা চামচ আদা পেস্ট
১০. রসুন পেস্ট আধা চা চামচ
১১. স্বাদমতো লবণ
১২. সয়াসস ১ চা চামচ।
পদ্ধতি-
ব্লেন্ড করা মাংসের সাথে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। হাতের তালুতে সামান্য পানি লাগিয়ে পরিমাণ মতো মুরগির মিশ্রণ দিয়ে চিকেন বল তৈরি করুন। বলের আকার হবে রসগোল্লার মতো। একইভাবে সব চিকেন বল তৈরি করুন।
ঢাল কদমের জন্য বাসমতি চালের আবরণ তৈরি করতে ১ কাপ বাসমতি চাল নিন। চাল ধুয়ে সামান্য লবণ দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে চাল নরম হবে এবং আকারে দ্বিগুণ হবে।
একটি চালুনিতে চালের পানি ঝরিয়ে নিন। একটি প্লেটে চালগুলো নিন এবং এতে আগে থেকে তৈরি চিকেন বলগুলি রোল/কোট করুন। হালকা হাতে ভালো করে চেপে মুরগির মাংসে চাল লাগিয়ে নিন। একইভাবে সবগুলো কোট করে নিতে হবে।
চুলায় পাতিল বসিয়ে পাতিলের ভেতর একটা স্টেন বসিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে। স্টেন এর উপর তেল ব্রাশ করা স্টিলের চালনি বসিয়ে তার উপর সবগুলো চিকেন বল দিতে হবে। একটু ফাঁকা ফাঁকা করে দিতে হবে। একবারে না হলে দু’বার দিতে হবে।
ঢেকে দিয়ে ভাপ দিতে হবে ১০ মিনিটের জন্য। এরপর ঢাকনা সরিয়ে দেখা যাবে চালগুলো ফুলে বেশ বড় হয়ে গেছে। এবার সবগুলো বলের উপর সামান্য একটু করে জর্দার রং/ইয়েলো ফুড কালার দিয়ে দিতে হবে। আবারও ঢেকে দিতে হবে ৫/৬মিনিটের জন্য।
যেহেতু ঝাল কদম নাম এবং কদম ফুলের ভেতরের রং হলুদ তাই কোনো রঙ না দিলেও হবে। ঝাল কদম চুলা থেকে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে নিলেই পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। কোনো সবজি না যোগ করে শুধু মুরগি দিয়েও তৈরি করা যাবে।