নিজস্ব প্রতিনিধি:
ব্যবসায়ীরা প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের চাহিদার ১০০% বাজারজাত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। তবে আগামী ৬ মাস পর বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সোমবার (৭ আগস্ট) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধের বিষয়ে সচেতনতানূলক সভার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর কাওরান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানান, খোলা ভোজ্যতেল বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ১০০% ভোজ্য তেল প্যাকেজ আকারে বাজারজাত করতে প্রস্তুত নয়। এ কারণে তারা সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে আরও সময় দাবি করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে চাই। খোলাবাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধে আরও সময় চান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন যে তারা এখনও ১০০% প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত নয়। তবে ৬ মাসের মধ্যে খোলা বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করা হবে।
সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ২০১৩ সালের আইনে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ-এর অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও, ২০১৯ সালের আইনে ভোজ্য তেলের প্যাকেট বা বোতলজাত করার বিধান করা হয়েছে। এর জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো ১০০% বোতল ও প্যাক করতে পারেনি।
তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পাম তেল সয়াবিন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কেজিতে ২০ টাকার বেশি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতারিত হচ্ছেন। এ অবস্থায় আইন বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের জন্য অতীতে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ নিয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, খোলা তেলের ড্রামগুলোর বেশির ভাগই কেমিক্যালের ড্রাম। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। এসব ড্রামে তেলাপোকা ও ইঁদুর পাওয়া যায়। এ জন্য পাম ও সয়াবিন তেল বোতলজাত করতে হবে। কেননা ইতোপূর্বে তিনবার এ ব্যাপারে তারিখ পেছানো হয়েছে।