বাগানের লিচুকে নিরাপদ রাখতে হত্যা করা হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির পাখি!

বাগানের লিচুকে নিরাপদ রাখতে হত্যা করা হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির পাখি!

জেলা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন লিচু বাগানের মালিক ও লিচু ব্যবসায়ীরা গাছে গাছে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে গাছের লিচুগুলোর নিরাপদ রাখতে নির্মমভাবে দেশিয় প্রজাতির পাখি হত্যা করছে।
বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন-২০১২  অনুযায়ী পাখি ক্রয় বিক্রয়, সংরক্ষন ,শিকার ও হত্যা মারাত্মক অপরাধ। এটি সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধ। আইন মতে উল্লেখিত অপরাধের জন্য কারাদন্ড, অর্থদন্ডসহ উভয়দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এই আইন সম্পর্কে উপজেলার বেশির ভাগ ব্যাক্তি জানেন না। উপজেলাতে আগের যে কোন সময়ের চাইতে কমে গেছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীসহ দেশিয় প্রজাতির পাখি। এমন পরিস্থিতি যদি চলমান থাকেন তবে জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়েবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহলের অনেকেই।
দামুড়হুদা উপজেলা নাটুদহ ,কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন সহ জেলার বিভিন্ন স্থানের বাগানগুলোতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে লিচু রক্ষা করতে চাইছেন লিচু চাষি, বাগান ইজারাদারা। কারেন্ট জাল ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখিগুলো উড়ে গিয়ে গাছের ডালে বসলে ওই জালে বিভিন্ন দেশিয় প্রজাতির পাখির মৃত্যু হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করে একজন বাগান ব্যবসায়ী বলেন, আমরা  কি করব ,আমাদের তো ক্ষতি হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ টাকার বাগান কিনেছি। গত দুইদিনের ঝড়ে বেশ ক্ষতি হয়েছে। এরপর গাছে যে ফলগুলো রয়েছে, তাও যদি রক্ষা না করি তাহলে আমাদের মতোন ব্যবসায়ীরা তো পথে বসবেন। তিনি আরো বলেন, কৃষিবিভাগ থেকেও তেমন কোন পরামর্শ বা নির্দেশনা পাইনি। বাধ্য হয়েই এ পথ অবলম্বন করতে হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা জানান, পাখি শিকার, হত্যার ঘটনাটি দুঃখজনক ঘটনা। পাখি আমাদের প্রকৃতির বড় সম্পদ। যারা কারেন্ট জাল ব্যবহারের মাধ্যমে পাখি হত্যা বা নিধন করছেন সকলেই অপরাধী। দেশিয় প্রজাতির পাখি হত্যা করে যে সকল ব্যক্তিরা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *