নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী পিটার সিজ্জারটোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেশটি এই আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
টিপু মুনশি হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দেশটিতে সফর করছেন। এটি বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্যমন্ত্রীর হাঙ্গেরিতে প্রথম সরকারি সফর। বাংলাদেশে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশসহ এই অঞ্চলে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরির ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
তিনি হাঙ্গেরির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ সরকার দেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে এবং বলেছে যে বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং বিভিন্ন বিদেশী বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার ভূমিকা রাখবে।
টিপু মুনশি ইইউ আলোচনার সময় সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি হাঙ্গেরির সরকারের প্রতি বাংলাদেশকে নীতিগত সহায়তা ও অপারেশনাল সহযোগিতার আহ্বান জানান। বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) অবস্থা থেকে উত্তরণের পর বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকারের বিষয়ে তিনি সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে হাঙ্গেরির বাণিজ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে তার দেশের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে, উভয় মন্ত্রী অতীতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির উপর তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন উপায় অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
এছাড়া তারা দুই দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছাকাছি আনতে বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এটি দুই দেশের মধ্যে বি-টু-বি সংযোগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলেও বলা হয়।
উভয় মন্ত্রীই স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, যার অধীনে ১৪০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাঙ্গেরি থেকে সম্পূর্ণ সরকারি বৃত্তি পাবে এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে।