বশেমুরকৃবিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়

বশেমুরকৃবিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়

জেলা

গাজীপুর প্রতিনিধি :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) কতৃর্ক আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ বিষয়ে দুটি কর্মশালা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালা দুটিতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া। কর্মশালায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধান অতিথি এবং ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ব্যক্তিত্ব যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পন করছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর ক্রান্তিকালেও বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। তাঁর সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি প্রেরণাদায়ী অঙ্গীকার, আর সে অঙ্গীকার তিনি পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেন। এ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে। যে গতিতে দেশে এ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে তা সত্যিই অভাবনীয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এবং আইসিটির মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ডিজিটাল অগ্রগতি থেকে একটুও পিছিয়ে নেই। অদম্য গতিতে আমরা চলছি তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়ক ধরে। আমাদের সাফল্য গাথা রয়েছে অনেক খাতে, যা সত্যিই গৌরব ও আনন্দের। ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে সারা বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, গত ১৪ বছরে মিরাকল বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, যাতে গবেষকদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবী। গবেষকগণ গবেষণা করবেন, ডাটাবেজ তৈরি করবেন, টেকনোলজি ট্রান্সফার করবেন তবেই উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হবে। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, যে জাতি টেকনোলজিতে এগিয়ে আছে সে জাতি তত উন্নতি লাভ করেছে। তিনি দক্ষ জনশক্তির উপর জোর দেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যথাক্রমে পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. এম. এয়নুল হক এবং পরিচালক (আইকিউএসি) প্রফেসর ড. মো. আবিয়ার রহমান। প্রথম কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকবৃন্দ এবং দ্বিতীয় কর্মশালায় গ্র্যাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *