নিজস্ব প্রতিনিধি:
নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। পেটোয়া পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। তারা সরাসরি গুলি করছে। এই স্বৈরাচার অবশ্যই হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, তারা নিশিরাতের ভোটের সরকার গঠন করেছে। তারা অন্যায় আইন আদেশ মানছে। আপনাদের নির্বাচন করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। নিরপেক্ষ, সরকারের অধীন ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না।
সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণসমাবেশের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। এরপর বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে বর্তমান ‘ভোট চোর অবৈধ, নিশিরাতের সরকারের’ পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
এর আগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সরকারের পতনের দাবিতে গণসমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম ও এর আশপাশে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী জড়ো হন। এ সময় কারো কারো হাতে ছাতা দেখা যায়। তবে বেলা একটার পর থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিট ও সংগঠনের ব্যানারে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মালিবাগ মোড়ের দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল শুরু হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের গণসমাবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়াও রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকে।