নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুনিয়াজুড়ে অনেক মানুষ রয়েছে যারা পশুপাখি ভালোবাসেন, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করেন। প্রশ্ন আসতেই পারে ঠিক কত বছর আগে থেকে মানুষের সাথে প্রাণীদের এমন বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে? গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ১৮ হাজার ৮০০ বছর থেকে ৩২ হাজার ১০০ বছর আগে থেকেই মানুষের সাথে প্রাণীদের এমন বন্ধুত্ব দেখা যায়। সেই যুগ থেকেই মানুষ ঘরে কুকুর পালন করা শুরু করে। শুরুতে মনে করা হত যে বাড়িতে কুকুর রাখলে শিকারে সহায়তা, নিরাপত্তা এবং বিপদের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। এর পর থেকেই মানুষ কুকুর থেকে শুরু করে বিড়াল, পাখি ও অন্যান্য প্রাণী পালন শুরু করেন।
অন্য প্রাণীদের সাথে মানুষের এই বন্ধুসুলভ সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি গ্রামীণফোন ‘বন্ধু বোঝে আমাকে’ শিরোনামে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ট্যাগ লাইনে একটি অসাধারণ ওবিসি তৈরি করেছে। সেখানে দেখায়, কীভাবে অলিগলিতে থাকা কুকুর, দেয়ালের ওপর বসে থাকা বিড়াল, গাছের ডালে থাকা পাখিটিও একজন অপরিচিত মানুষকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়, বন্ধু হয়ে ওঠে। এদের সাথে বন্ধুত্ব করতে অথবা কথা বলতে দরকার পরে না কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, হোয়াটসঅ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জার এর। এরা কার কত ফলোয়ার, কত ফ্রেন্ডস অথবা প্রোফাইল পিক বিচার-বিবেচনা করে রিকোয়েস্ট পাঠায় না। এরা যাদের বন্ধু আছে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে আবার যাদের বন্ধু নেই তাদের সাথেও বন্ধুত্ব করে। শুধু এদের সাথে বন্ধুত্ব করতে আমাদের দরকার তাদের রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার মন। মূলত এই বার্তা টি আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছে গ্রামীণফোন।
এই ধরনের কাজ গ্রামীণফোনের মত করপোরেট হাউসগুলোকে যেমন আরও বেশি জণসম্পৃক্ত করবে তেমনি আমাদের সমাজকে এ রমক ছোট ছোট পজিটিভ পতিবর্তনে আরো বেশি উৎসাহ জোগাবে।
তাছাড়া মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন যে প্রাণীরা ভাল মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এজন্য মনোবিজ্ঞানীরা বেশিইরভাগই প্রাণী পালনের উপদেশ দিয়ে থাকেন।
প্রাণীরা মনকে শান্ত করে এবং উদ্বিগ্নতা কমায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রাণী পোষে তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। বাড়িতে কুকুর থাকলে আপনার ঠিকই ভোরে বাইরে যাওয়া হবে। এতে সুবিধা হলো, একদিকে যেমন আপনার শরীর চর্চা হচ্ছে- এতে এনডরফিনস বাড়ে। ফলে আপনার শরীর ভালো লাগবে। অন্যদিকে ভোরের আবহাওয়া আপনার উৎসাহ বৃদ্ধি করবে।