নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে। অক্টোবরে সরবরাহ কমায় তখন দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এখন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীও ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের সুযোগ নিচ্ছে।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত বছর এসময় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এদিকে পেঁয়াজ ছাড়াও গত এক সপ্তাহে বেড়েছে রসুনের দাম। ২০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশি রসুনের দাম কেজিপ্রতি ছিল মাত্র ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা।
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ভারত ছাড়াও ইতিমধ্যে চীন, তুরস্কসহ ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর মিশর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন, চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ টন, কাতার থেকে ১ হাজার ১০০ টন, মায়ানমার ২০০ টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস চার টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তিন টন আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব পেঁয়াজ দেশে আসবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন। অনুমোদিত সব পেঁয়াজ দেশে এলে পেঁয়াজের দাম কমবে। রাজধানীর খুচরা বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল যথাক্রমে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা এবং ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।