পাহাড়ি ঢলে এক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান প্লাবিত

পাহাড়ি ঢলে এক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান প্লাবিত

জেলা

মারুফুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি :
উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরের শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ি উপজেলার ভোগাই, চেল্লাখালি ও মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৬ ইউনিয়নের কম পক্ষে ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে।

সেইসাথে আরো প্রায় ৩০ হেক্টর জমির সবজির ক্ষেতও তলিয়ে গেছে। ঢলের পানিতে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

জানাগেছে, গত ১৩ আগষ্ট রোববার ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ভোগাই, চেল্লাখালি ও মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সেই পানি নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়।

তবে আজ সকাল থেকে মহারশিসহ অন্যান্য নদীর পানি কমে যাওয়ায় স্বস্তি বোধ করছে স্থানীয় কৃষকরা। আবার কোন কোন কৃষক আবারও পাহাড়ি ঢলের শংকা করছে। কারণ পাহাড়ি ঢল শেরপুর বা বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে না। ভারতের মেঘালয়ে অধিক বৃষ্টিপাত হলে সেই বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে শেরপুরের উল্লেখিত পাহাড়ি নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

এবিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানায়, জেলায় ভারি বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে সীমান্তের ৩ উপজেলায় সম্পূর্ণ ও আংশিকরূপে রোপা আমন তলিয়েছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর আর সবজি তলিয়েছে প্রায় ৩০ হেক্টর। তবে এ পানি ফসলের জন্য তেমন ক্ষতি হবে না। তবে আরো বর্ষন এবং পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা হলে সেটা ভিন্ন কথা।

ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ঝিনাইগাতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানায়, ঢলের পানি এক দিনেই নেমে গেছে তাই কোন ক্ষয়-ক্ষতি বা পানি বন্দির কোন খবর নেই তার কাছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতি হলে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছ বলে জানান তিনি। এছাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবনের বিষয়ে বলেন, নিম্নাঞ্চলে এমনিতেই ৬/৭ দিন পানি জমে থাকে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *