নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে ভুটানকে প্রস্তাব দিয়েছেন।
শনিবার ক্লারিজ হোটেলের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানি জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ প্রস্তাব দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা হোটেলে পৌঁছালে ভুটানের রাজা ও রানীকে স্বাগত জানান।
বৈঠক শেষে শনিবার (স্থানীয় সময়) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। আপনারা আমাদের দেশে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ইতোমধ্যে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা চাইলে কড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারি। পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে নিজ দেশে প্রশাসনিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চান বলে ভুটানের রাজার কাছে এ প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুখী দেশ ভুটান তাদের দেশের পরিবেশ বিপন্ন করতে চায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলপথসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সংযোগের কেন্দ্র। ভুটান বাংলাদেশের দুটি বন্দর ও সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। কারণ আমরা তাদের এই উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করেছি।
ভুটানের রাজা ও রানী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি ট্রানজিট করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভুটানের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব।
ভুটানের রাজা বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনেই বাংলাদেশে পড়াশোনা করেছেন, তাই বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশেষ অনুরাগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনেই বাংলাদেশ সফরে একান্তে যেতে চান।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে ৫০ মিনিটের বৈঠকে তারা বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়েও আলোচনা করেছেন এবং ভুটানের রাজা ও রাণীর প্রতি তাদের খালা হিসেবে তাদের আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন।