নিপাহভাইরাস : আইইডিসিআর কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ দেয়

স্বাস্থ্য

 

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ

আইইডিসিআর, বি অনুসারে নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত ৭১ শতাংশ লোক ২২ বছরে মারা গেছে। সংস্থাটি কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ দেয়।

২০০১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দেশে ৩২২ জনের শরীরে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩০ জন মারা গেছে।

সরকারের ইনস্টিটিউট অফ ডিজিজ এপিডেমিওলজি, কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) অনুসারে, মেহেরপুরে ২০০১ সালে দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে নওগাঁ। যাইহোক, ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব ঘটে ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সে বছর ফরিদপুরে ৩৫ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২৭ জন মারা গিয়েছিল।

চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশে কোনো সংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার এত বেশি বলে জানা নেই। মৃত্যুর ভয় থাকা সত্ত্বেও নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। মূলত, খেজুরের কাঁচা রস পান করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খেজুরের রসে বাদুড়ের মুখ। সেখান থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

এই ঘটনার পরপরই, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ফরেস্টেশন রিসার্চ, বাংলাদেশ যৌথভাবে এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এটি তখন ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দ্বারা অর্থায়ন করেছিল। দুটি সংস্থার মতে, গত ২০ বছরে বাংলাদেশের ৩২টি জেলায় ৩৮টি নিপাহ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃতের মধ্য থেকে ফিরে এসেছেন তাদের জন্য একটি ভয়ানক সময় অপেক্ষা করছে। বেঁচে গেলেও তারা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *