মারুফুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি:
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সাউথ গারো হিল জেলা সীমান্তে অবস্থিত শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি ১০ জুন সোমবার থেকে সকল ধরণের আমদানি বন্ধ আছে।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি- রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “তুরা-ডালু সড়কের সংস্কার কাজের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। ভারতীয় অংশে রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা ছিলো। ঝুঁকি নিয়েই এতোদিন গাড়ী চলাচল করলেও এখন তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ট্রাক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দরা আমাকে জানিয়েছেন।
তবে বন্দরের কাস্টমস সতত্র জানিয়েছেন, অফিসিয়ালী সরকারী ভাবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চালু আছে।
স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, “সরকারী ভাবে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হয়নি। ভারতীয় অংশে সড়ক সংস্কারের কাজ চলায় সেদেশের ব্যবসায়ীরা আপাতত কিছুদিন পন্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে যাত্রী পারাপার ও বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।”
এদিকে বিশেষ প্রয়োজনে সংস্কারের আগ পর্যন্ত কিছু মালামাল আসতে পারে বলে আমদানি- রপ্তানিকারক সমিতিসহ বন্দরের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য আন্তস-সীমান্ত আমদানি রপ্তানির জন্য উত্তরাঞ্চলের শেরপুর জেলার নাকুগাও স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য প্রদেশ থেকে এবং ভুটান থেকে সড়কপথে পাথর ও কয়লাসহ বিভিন্ন পন্য আমদানী হয়ে থাকে। সূত্র জানায় সম্প্রতি ভারী বর্ষনে মেঘালয়ের ডালু-তুরা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ভাড়ী ট্রাক চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই ওই রাস্তায় সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় ভাড়ী যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই সড়কে পাথর ও কয়লা আমদানি সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাই ওই সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত করার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।