নওগাঁয় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন

নওগাঁয় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন

জেলা

নওগাঁ প্রতিনিধি :
“সংগ্রাম স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

আজ নওগাঁর জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে নওগাঁ সদর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং দুঃস্থ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন নওগাঁ জেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইসরাত জাহান।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হেনা রায়হানুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ শাহিন মনোয়ারা হক, নওগাঁ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভূমিকা পালন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইকবাল হোসেন সহকারী কমিশনার ও এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নওগাঁ, ইফতেখারুল ইসলাম শামীম সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নওগাঁ, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ, নওগাঁ সদর উপজেলার বিভিন্ন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীবৃন্দ।

এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাতেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে শহীদ হন।

আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের শেষে নওগাঁ সদর উপজেলার ১০ জন মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন ও নওগাঁ জেলায় সর্বমোট ৮০ জন মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে বিশেষ অনুদানের থেকে বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *